তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো


তৈলাক্ত ত্বক সব সময় একটু আলাদা যত্ন দাবি করে, কারণ এটি সহজেই ব্রণ, ব্ল্যাক হেডস এবং অতিরিক্ত তেলের সমস্যায় ভোগে। অনেকেই মনে করেন, ত্বক তৈলাক্ত হলে ক্রিম ব্যবহার অপ্রয়োজনীয়, কিন্তু বাস্তবে এটি একটি ভুল ধারণা। সঠিক ক্রিম ত্বককে শুধু আর্দ্রই রাখে না, বরং তেলের ভারসাম্যও নিয়ন্ত্রণ করে।
তৈলাক্ত-ত্বকের-জন্য-কোন-ক্রিম-ভালো
 তৈলাক্ত ত্বকের জন্য হালকা, অয়েল ফ্রি এবং নন কমেডোজেনিক ক্রিম সবচেয়ে উপযোগী। এগুলো রোমছিদ্র বন্ধ না করে ত্বককে সতেজ রাখে। পাশাপাশি এ ধরনের ক্রিম ত্বকে শীতলতা দেয় এবং সারাদিন তেলতেলে ভাব কমায়। তাই দৈনন্দিন যত্নে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সঠিক ক্রিম নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি। 

পেজ সূচিপত্রঃতৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো 

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো

তৈলাক্ত ত্বক  সব সময় অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করে থাকে। ফলে মুখে অবস্থিত ও অজাতিক চকচকে ভাব তৈরি হয়ে থাকে। এ বাড়িতে তেল ত্বকের রুমকূপ বন্ধ করে দিতে পারে এবং বর্ণ বা  ব্ল্যাক হেডসের ঝুঁকি বাড়িয়ে থাকে। অনেকে মনে করেন, তৈলক্ত ত্বকে আলাদা কোন ক্রিমের দরকার নেই। কিন্তু আসলেই সেটাই কি ভুল। কারণ সঠিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করলে তক ্বক শুকনো হয়ে আবারো বেশি তেল তৈরি করে থাকে। 

 আরো পড়ুনঃভাজা চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

ভালো উপাদানের বৈশিষ্ট্য; তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ক্রিম সব সময় হালকা জেল বা জেল ক্রিম ফর্মুলা হওয়া উচিত। নিয়া সিনেমা ইড উপাদান ত্বকের তেল নিয়ম তান্ত্রিক করতে এবং দাগ বা ব্রণ কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে। হাআলুরওনিক অ্যাসিড ত্বকের আদ্রতা ধরে রেখে থাকে, কিন্তু বাড়িতে তেল তৈরি হতে দেয় না। সিলিকা বা অয়েল অ্যাব জরবিং উপাদান মুখের আর্দ্রতা অজাতিক তেল শোষণ নিয়ে সারাদিন ফ্রেশ রাখতে সাহায্য করে থাকে। সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো ক্রিম যেন এটা, non comedogenic হয়ে থাকে। যাতে রোমকূপ বন্ধ  হয় বা না হয়ে থাকে। 

কয়েন ময়েশ্চারাইজার কোন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য জরুরী

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজার বেছে নেওয়া একটি গুরুত্ব পূর্ণ ধাপ। অনেকেই মনে করেন তৈলাক্ত ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের দরকার নেই, কিন্তু আসলে ত্বককে ভার সাম্যে রাখতে এটি অত্যন্ত জরুরি হয়। সঠিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করলে ত্বক অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করে, ফলে ব্রণ ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। তাই কয়েন ময়েশ্চারাইজারের মতো হালকা ও ত্বক বান্ধব পণ্য বেছে নেওয়া উচিত।তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো, এগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সবসময় জেল বা ওয়াটার বেসড ময়েশ্চারাইজার উপযোগী। এগুলো ত্বকে তেল বাড়ায় না বরং আর্দ্রতা ধরে রাখে। কয়েন ময়েশ্চারাইজার সাধারণত নন কমেডো জেনিক হওয়ায় এটি রোমছিদ্র বন্ধ করে না। এতে হালকা ফর্মুলা থাকায় ত্বক সতেজ ও আরামদায়ক অনুভূত হয়। ফলে সারাদিন ত্বক তেল তেলে না দেখিয়ে স্বাভাবিক থাকে।

তৈলাক্ত ত্বক দ্রুত ধুলো ও ময়লা জমা করে, যা ব্রণ ও ব্ল্যাক হেডস তৈরি করে। তাই এমন ময়েশ্চারাইজার দরকার যা একদিকে ত্বক আর্দ্র রাখবে আবার অতিরিক্ত তেল শোষণ করবে। কয়েন ময়েশ্চারাইজারে সাধারণত অয়েল কন্ট্রোল বৈশিষ্ট্য থাকে, যা এ ধরনের সমস্যা কমাতে সহায়ক। নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক স্বাস্থ্যকর ও ভারসাম্য পূর্ণ হয়।

ময়েশ্চারাইজারের আরেকটি উপকারিতা হলো ত্বকের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়ানো। তৈলাক্ত ত্বক অনেক সময় অস্বাভাবিক ভাবে পানি শূন্য হয়, যা রুক্ষতা ও জ্বালাভাব তৈরি করে। কয়েন ময়েশ্চারাইজার ত্বককে ভিতর থেকে হাইড্রেট করে এবং ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা স্তর বজায় রাখে। এতে ত্বক থাকে মসৃণ ও নমনীয়।

সব শেষে বলা যায়, তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার বাদ দেওয়া উচিত নয়। বরং কয়েন ময়েশ্চারাইজারের মতো হালকা, জেল ভিত্তিক ও অয়েল ফ্রি পণ্য ব্যবহার করলে ত্বক আরও উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্য কর থাকে। এটি শুধু ব্রণ প্রতিরোধ করে না, বরং দীর্ঘ মেয়াদে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত সঠিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের অভ্যাস করা হয়।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ডে ক্রিম বনাম নাইট ক্রিম কোনটা ভালো

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ডে ক্রিম ব্যবহার অনেক উপকারী, কারণ এটি সারাদিনের ধুলো, ময়লা ,ও সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। সাধারণত ডে ক্রিমে থাকে হালকা টেক্স চার, সানস্ক্রিন ও তেল নিয়ন্ত্রণ কারী উপাদান। এগুলো ত্বকে তেল তেলে ভাব বাড়তে দেয় না এবং সুরক্ষা দেয় বাইরে থাকার সময়। বিশেষ করে গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় ডে ক্রিম একটি প্রয়োজনীয় সঙ্গী।

অন্য দিকে, নাইট ক্রিমের কাজ হলো ঘুমের সময় ত্বককে রিপেয়ার করা এবং ভিতর থেকে পুষ্টি জোগানো। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য নাইট ক্রিম সাধার ণত অয়েল ফ্রি ও হাই ড্রেটিং হয়, যা রোমছিদ্র বন্ধ না করে আর্দ্রতা ধরে রাখে। রাতে ত্বক বিশ্রামে থাকে বলে এই সময়ে ক্রিম সহজে শোষিত হয় এবং ব্রণ বা দাগ হালকা করতে সহায়তা করে। ফলে সকালে ত্বক সতেজ ও স্বাস্থ্যকর দেখা যায়।তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো, এগুলো মনে করা দেওয়ার জন্য, বারবার বলা।

আরো পড়ুনঃAi দিয়ে কন্টেন্ট তৈরির সহজ টিপস ও আধুনিক কৌশল

ডে ক্রিম ও নাইট ক্রিম উভয়ের কাজ আলাদা এবং একে অপরের বিকল্প নয়। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য দিনের বেলা হালকা ও সান স্ক্রিন যুক্ত ডে ক্রিম, আর রাতে রিপেয়ারিং ও হাই ড্রেটিং নাইট ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বক সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়। সঠিক ভাবে নিয়মিত এই দুটো ব্যবহার করলে ত্বক শুধু তেল নিয়ন্ত্র ণেই থাকে না, বরং দীর্ঘ মেয়াদে উজ্জ্বল ও তারুণ্য দীপ্ত হয়। তাই কোনটা ভালো তা নয়, বরং দুটোই দরকার হয়।

ব্রণপ্রবণ তৈলাক্ত তোকে  ত্বকে কোন ক্রিম ব্যবহার করা উচিত

ব্রণ প্রবণ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সব সময় এমন ক্রিম বেছে নিতে হবে যা নন কমেডোজেনিক এবং অয়েল ফ্রি। এসব ক্রিম রোম ছিদ্র বন্ধ করে না, ফলে নতুন ব্রণ তৈরি হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। হালকা জেল বেসড বা ওয়াটার বেসড ক্রিম ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো, কারণ এগুলো দ্রুত শোষিত হয় এবং ত্বকে তেল তেলে ভাব ফেলে না। পাশা পাশি সালিসাই লিক অ্যাসিড, নিয়াসিনা মাইড বা অ্যালোভেরা যুক্ত ক্রিম ব্রণ শুকাতে এবং দাগ হালকা করতে সহায়ক হয়ে থাকে। এতে ত্বক থাকে সতেজ ও ভারসাম্য পূর্ণ হয়।


এ ধরনের ক্রিম শুধু ব্রণ নিয়ন্ত্রণই করে না, বরং ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখে। অনেকেই ভুল করে ব্রণ হলে ক্রিম ব্যবহার বন্ধ করেন, অথচ এতে ত্বক আরও বেশি শুকিয়ে গিয়ে অতিরিক্ত তেল তৈরি করে। তাই মৃদু, হাই ড্রেটিং এবং তেল নিয়ন্ত্র ণকারী ক্রিম ব্যবহার করা জরুরি। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের তেল উৎপাদন স্বাভাবিক হয়, ব্রণ কমে এবং ত্বক ধীরে ধীরে মসৃণ হয়ে ওঠে। ফলে ব্রণ প্রবণ তৈলাক্ত ত্বকও স্বাস্থ্য কর ও উজ্জ্বল রাখা সম্ভব হয়ে থাকে। 

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য হারবাল ও প্রাকৃতিক ক্রিমের সুবিধা

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য হারবাল ও প্রাকৃতিক ক্রিম ব্যবহার নিরাপদ ও কার্য করী সমাধান হতে পারে। এসব ক্রিমে সাধারণত অ্যালো ভেরা, নিম, গ্রিন টি, শসা বা গোলা পজল জাতীয় উপাদান থাকে যা ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে এবং সতেজ অনুভূতি দেয়। রাসায়নিক উপাদান কম থাকায় এগু লোতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি অনেক কম। পাশা পাশি ত্বকে অ্যালার্জি বা জ্বালা ভাব সৃষ্টি করে না বলে সংবেদন শীল ও তৈলাক্ত ত্বকের জন্যও উপযোগী।
তৈলাক্ত-ত্বকের-জন্য-কোন-ক্রিম-ভালো
হারবাল ও প্রাকৃতিক ক্রিমের আরেকটি সুবিধা হলো এগুলো দীর্ঘ মেয়াদে ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে। এ ধরনের ক্রিম ব্রণ, ব্ল্যাক হেডস ও রোম ছিদ্রের সমস্যা কমিয়ে আনে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক ভেতর থেকে পুষ্টি পায় এবং স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসে। কৃত্রিম সুগন্ধি বা ভারী কেমিক্যাল না থাকায় ত্বক থাকে হালকা ও আরাম দায়ক। ফলে তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে হারবাল ও প্রাকৃতিক ক্রিম একটি নিরাপদ ও টেকসই সমাধান রয়েছে।

অয়েল কন্ট্রোল ক্রিম সারাদিন ফ্রেশ ঢুকানোর জন্য সেরা সাধারণ

তৈলাক্ত ত্বকের অন্যতম সমস্যা হলো সারাদিন ধরে মুখে অতিরিক্ত তেল জমে যাওয়া, যা ত্বককে নিস্তেজ ও ভারী করে তোলে। এই সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে অয়েল কন্ট্রোল ক্রিম। এটি ত্বকের অতিরিক্ত সেবাম শোষণ করে এবং ত্বককে দীর্ঘ সময় সতেজ রাখে। হালকা ও অয়েল ফ্রি ফর্মুলা থাকার কারণে এটি মুখে ভারী ভাব আনে না। ফলে বাইরে কিংবা অফিসে সারাদিন আরাম দায়ক অনুভূতি দেয়। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো, উপরে নিজের সব জায়গায়, সুন্দর আলোচনা করা হয়েছে। 

অয়েল কন্ট্রোল ক্রিম শুধু ত্বককে ফ্রেশই রাখে না, বরং ব্রণ ও ব্ল্যাক হেডসের ঝুঁকিও কমায়। ত্বক যখন অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করে, তখন রোমছিদ্র বন্ধ হয়ে ব্রণ তৈরি হয়। এই ক্রিম সেই তেল উৎপাদনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে ব্রণ কমে আসে। একই সঙ্গে এতে থাকা হাই ড্রেটিং উপাদান ত্বককে শুষ্ক হতে দেয় না। তাই এটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য একটি ব্যালান্সড সমাধান হিসেবে কাজ করে।

নিয়মিত অয়েল কন্ট্রোল ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকের প্রাকৃতিক ভার সাম্য বজায় থাকে এবং সারাদিন আত্মবি শ্বাসের সঙ্গে ফ্রেশ থাকা যায়। এটি ত্বকে মৃদু উজ্জ্বলতা আনে এবং ধুলো ময়লা জমে তেল তেলে ভাব বাড়তে বাধা দেয়। বাইরে বের হওয়ার আগে বা দৈনন্দিন স্কিন কেয়ার রুটিনে এটি যোগ করলে ত্বক দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্য কর হয়। তাই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সারাদিন ফ্রেশ থাকার সেরা সাধারণ উপায় হলো অয়েল কন্ট্রোল ক্রিম।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য হালকা জেল বেসড ক্রিম কেন উপকারী

তৈলাক্ত ত্বকে সাধারণ ক্রিম প্রয়োগ করলে অনেক সময় মুখ আরও তেল তেলে দেখায় এবং রোম ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। হাল কা জেল বেসড ক্রিম এ ক্ষেত্রে সেরা সমাধান, কারণ এ গুলো দ্রুত ত্বকে শোষিত হয় এবং কোনো ভারী স্তর তৈরি করে না। জেল টেক্সচারের কারণে এটি ত্বককে ঠান্ডা ও সতেজ অনুভূতি দেয়। ফলে সারাদিন ত্বক থাকে ফ্রেশ ও আরামদায়ক।
তৈলাক্ত-ত্বকের-জন্য-কোন-ক্রিম-ভালো
জেল বেসড ক্রিম সাধারণত অয়েল ফ্রি হওয়ায় ত্বকের অতিরিক্ত তেল উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে। এতে হাই ড্রেটিং উপাদান যেমন অ্যালো ভেরা বা হায়ালু রোনিক অ্যাসিড থাকে, যা ত্বকের প্রয়ো জনীয় আর্দ্রতা ধরে রাখে। তেল ও আর্দ্রতার ভারসাম্য বজায় রাখার ফলে ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস বা পিম্পল হওয়ার ঝুঁকি কমে। এভাবে এটি তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যার কার্য কর সমাধান দেয়।

হালকা জেল বেসড ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসে এবং ভারী ভাব ছাড়াই মসৃণ লাগে। এটি বাইরে ধুলো ময়লা জমে ত্বক তেল তেলে হয়ে যাওয়া রোধ করে। পাশা পাশি মেক আপের নিচেও এটি ভালো ভাবে কাজ করে, কারণ এতে ত্বক শ্বাস নিতে পারে। তাই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য হালকা জেল বেসড ক্রিম নিয় মিত ব্যবহার করলে ত্বক হয় স্বাস্থ্যকর, সতেজ ও আকর্ষণীয়।

মেক আপের আগে তৈলাক্ত ত্বকে কোন ক্রিম বেস্ট

মেক আপের আগে তৈলাক্ত ত্বকে সব সময় এমন ক্রিম ব্যবহার করা উচিত যা হাল কা ও অয়েল ফ্রি। ভারী বা তেল যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করলে মেক আপ দ্রুত গলে যায় এবং মুখে তেল তেলে ভাব দেখা দেয়। তাই জেল বেসড বা ওয়াটার বেসড ময়েশ্চারাইজার সবচেয়ে উপযোগী। এগুলো ত্বককে আর্দ্র রাখে কিন্তু বাড়তি তেল জমতে দেয় না। ফলে মেক আপ দীর্ঘ সময় টিকে থাকে সাহায্য করে।

তৈলাক্ত ত্বকে মেক আপ করার আগে নন কমেডো  জেনিক ক্রিম বেছে নেওয়া জরুরি হয়ে থাকে, কারণ এটি রোমছিদ্র বন্ধ করে না। এর ফলে ব্রণ বা ব্ল্যাক হেডস তৈরি হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। অ্যালো ভেরা বা নিয়াসিনা মাইড যুক্ত হালকা ক্রিম ত্বককে ঠান্ডা রাখে এবং বাড়তি তেল নিয়ন্ত্রণ করে। এ ধরনের ক্রিম ত্বকের টেক্স চার মসৃণ করে, যা মেক আপ সেট হতে সহায়তা করে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো , আপনাদের উপকারের জন্য বলা এতবার, যাতে করে আপনাদের সবসময় মনে থাকে। 

আরো পড়ুনঃ৫০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া

মেক আপের আগে সঠিক ক্রিম ব্যবহার করলে সারাদিন ফ্রেশ লুক বজায় রাখা সহজ হয়। অয়েল কন্ট্রোল বৈশিষ্ট্যযুক্ত ক্রিম মেক আপ গলতে দেয় না এবং বারবার টাচ-আপের প্রয়োজন হয় না। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক রেখে মেক আপকে আরও ন্যাচারাল দেখায়। তাই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মেক আপের আগে সেরা পছন্দ হলো হালকা, অয়েল ফ্রি ও জেল বেসড ক্রিম।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিম ব্র্যান্ডের তালিকা

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে নিউট্রো জেনা ,Neutrogena, একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত। তাদের হাই ড্রো বুস্ট জেল ক্রিম তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বিশেষ ভাবে কার্য কর। এই ক্রিম দ্রুত শোষিত হয় এবং কোনো তেল তেলে ভাব রাখে না। পাশা পাশি এতে হায়ালুরো নিক অ্যাসিড থাকায় ত্বক ভেতর থেকে হাই ড্রেট থাকে। এটি দৈন ন্দিন ব্যবহারের জন্য নিরাপদ এবং মেক আপের নিচেও সহজে ব্যবহার করা যায়।

সেটাফিল ,Cetaphil, ব্র্যান্ড ও তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ জনপ্রিয়। তাদের অয়েল কন্ট্রোল ময়েশ্চারাইজার ত্বককে দীর্ঘ সময় সতেজ রাখে এবং ব্রণ কমাতে সহায়তা করে। নন কমেডো জেনিক ফর্মুলা থাকায় এটি রোমছিদ্র বন্ধ করে না। সংবেদন শীল ত্বকেও এটি নিরাপদে ব্যবহার করা যায়। বিশেষ করে গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় এই ব্র্যান্ডের ক্রিম খুব উপযোগী।

আরেকটি বহুল ব্যবহৃত ব্র্যান্ড হলো হিমালয়া ,Himalaya, যা হারবাল উপাদান ভিত্তিক। তাদের অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার এবং নিমযুক্ত ক্রিম তৈলাক্ত ত্বকের জন্য চমৎকার। প্রাকৃতিক উপাদান থাকার কারণে এটি ত্বকের জ্বালা কমায় এবং ব্রণ প্রতিরোধ করে। একই সঙ্গে এটি ত্বককে সতেজ রাখে এবং ভারী ভাব তৈরি করে না। তাই যারা হারবাল সমাধান চান, তাদের জন্য হিমালয়া একটি নির্ভর যোগ্য ব্র্যান্ড।

সবশেষে উল্লেখযোগ্য ব্র্যান্ড হলো গার্নিয়ার ,Garnier, যার অয়েল কন্ট্রোল ক্রিম তরু ণদের মাঝে বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এই ক্রিম ত্বকে ম্যাট ফিনিশ দেয় এবং অতিরিক্ত তেল শোষণ করে। এতে থাকা ভিটামিন ও প্রাকৃতিক এক্স ট্র্যাক্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ব্রণ কমায়। যারা সাশ্রয়ী দামে কার্যকর সমাধান চান, তাদের জন্য গার্নিয়ার একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।

শেষ পাতাঃতৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো 

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য যেগুলো কথা বলার চেষ্টা করেছি ।আপনাদের সাথে যতটুকুন পেরেছি রিচার্জ করে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি এই কারণে, সঠিক নিয়মে যদি আপনি পড়ে এসে থাকেন, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। আর আপনি যদি পড়ে কিছু না বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই আমার সাথে যোগাযোগ করবেন, আমি যথেষ্ট পরিমাণে চেষ্টা করব আপনাকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য। আমাকে মেসেজ বা কল দিলে সব সময় পাবেন ইনশাআল্লাহ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url