কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক

কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক, কাজু বাদাম আমাদের অনেকের প্রিয় একটি খাবার হলেও এর কিছু ক্ষতি কারক দিকও রয়েছে। যা আমাদের জানাটা অনেক বেশি দরকার। অতিরিক্ত পরিমাণে কাজু বাদাম খাওয়া শরীরে চর্বি ও ক্যালোরির মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। 

কাজু-বাদামের-ক্ষতিকর-দিক

অনেকের ক্ষেত্রে কাজুতে থাকা প্রোটিন অ্যালার্জি সৃষ্টি করে ত্বকে চুলকানি বা ফুসকুড়ির মতো সমস্যা দেখা দেয়। অপর দিকে, কাজুতে থাকা অক্সালেট উপাদান কিডনিতে পাথর তৈরিতে সহায়তা করতে পারে। যদি এটি সঠিক ভাবে সংরক্ষণ না করা হয় তবে ছত্রাক বা বিষক্রিয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়। 

পেশ সূচিপত্রঃ কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক 

কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক

কাজু বাদাম দেখতে যেমন আকর্ষণীয় খেতে ও তেমনি সুস্বাদু ও পুষ্টি কর। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে অতিরিক্ত কাজু বাদাম খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এতে থাকা ফ্যাট ও ক্যালরির পরিমাণ তুলনা মূলক ভাবে বেশি, যা নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে খেলে ওজন বৃদ্ধি ও স্থূ লতার ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষ করে যারা নিয়মিত কম পরিশ্রম করেন, তাদের ক্ষেত্রে এই প্রভাব আর ও তীব্র হয়। তাই কাজু বাদাম খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণ ও নিয়ম মানা অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ হয়।


কাজু বাদামে কিছু প্রাকৃতিক রাসায়নিক উপাদান থাকে যা অনেক সময় অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। কিছু মানুষের ত্বকে লালচে ফুসকুড়ি, চুলকানি বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যারা বাদামজাত খাবারে সংবেদন শীল, তাদের জন্য কাজু বাদাম মারাত্মক প্রতি ক্রিয়া ঘটাতে পারে। তাই প্রথম বার কাজু বাদাম খাওয়ার আগে সতর্ক থাকা উচিত এবং অ্যালার্জির ইতিহাস থাকলে এড়িয়ে চলা বুদ্ধি মানের কাজ হয়ে থাকবে।কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক, এই টপিক মনে করে দেওয়ার জন্য এইভাবে বলা।

আরো পড়ুনঃ পান কালোজিরা মধু খেলে কি হয়


অতিরিক্ত কাজু বাদাম খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে থাকা চর্বি ও প্রোটিন কিছু মানুষের পেটের জন্য ভারী হয়ে যায়, যার ফলে গ্যাস, পেট ফাঁপা বা বদহ জমের সমস্যা দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রে এতে থাকা ফাই টিক অ্যাসিড শরীরের ক্যালসিয়াম ও আয়রন শোষণে বাধা দেয়। দীর্ঘ দিন এমন অবস্থা চললে হাড় দুর্বলতা বা রক্তা ল্পতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পরিমিত খাওয়াই উত্তম আপনার জন্য।

কাজু বাদামে সোডিয়াম ও অক্সালেট নামক উপাদান ও থাকে যা কিডনির জন্য ঝুঁকি পূর্ণ হতে পারে। অতিরিক্ত সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে এবং কিডনির কাজের উপর চাপ সৃষ্টি করে। আবার বেশি পরিমাণে অক্সালেট জমে গেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই যাদের কিডনি সমস্যা আছে বা উচ্চ রক্ত চাপে ভোগেন। তাদের কাজু বাদাম খাওয়ার পরিমাণ অবশ্যই সীমিত রাখতে হবে।

সবশেষে বলা যায়, কাজু বাদাম স্বাস্থ্যকর হলেও অতি খাওয়ায় এর উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হতে পারে। প্রতিদিন সামান্য পরিমাণে খাওয়া শরীরের পুষ্টি বজায় রাখতে সহায়ক হলেও, অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। বিশেষ করে ভাজা বা লবণ যুক্ত কাজু বাদাম বেশি খাওয়া উচিত নয়, কারণ এতে অতিরিক্ত তেল ও লবণ শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তাই সচেতন ভাবে ও পরিমিত পরিমাণে কাজু বাদাম খাওয়াই সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার সঠিক উপায় হতে পারে।

অতিরিক্ত কাজু বাদাম খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি

কাজু বাদাম এক দিকে যেমন শক্তির দারুণ উৎস, অন্যদিকে এতে ক্যালরি ও ফ্যাটের পরিমাণ ও অনেক বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম কাজু বাদামে থাকে প্রায় ৫৬০,৬১০ ক্যালরি, যা শরীরে দ্রুত চর্বি জমাতে সাহায্য করে। যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন না বা দীর্ঘ সময় বসে কাজ করেন, তাদের শরীরে এই অতি রিক্ত ক্যালরি ফ্যাটে রূপ নেয়। ধীরে ধীরে এই ফ্যাট পেট, কোমর ও উরুর আশে পাশে জমে ওজন বাড়িয়ে দেয়। তাই কাজু বাদাম খাওয়ার ক্ষেত্রে সীমা জানা না থাকলে, তা ওজন নিয় ন্ত্রণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

কাজু বাদামে থাকা ,মনো আন স্যাচু রেটেড ফ্যাট” হৃদপি ণ্ডের জন্য উপকারী হলে ও, অতিরিক্ত পরিমাণে এটি শরীরে অতিরিক্ত শক্তি হিসেবে জমা হয়। এই শক্তি যদি ব্যায়াম বা দৈন ন্দিন কর্মে ব্যয় না হয়, তবে শরীর তা চর্বি হিসেবে সংরক্ষণ করে। ফলে সময়ের সঙ্গে ওজন ক্রমেই বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় মানুষ স্বাস্থ্যকর মনে করে দিনে অনেক টা কাজু বাদাম খেয়ে ফেলেন, যা অজান্তেই তাদের ক্যালরি গ্রহণ দ্বিগুণ করে দেয়। এই অতি খাওয়ার অভ্যাসই পরব র্তীতে স্থূলতার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক, এই বিষয় নিয়ে নিচে আলোচনা করা আছে।

অতিরিক্ত কাজু বাদাম খেলে শুধু ওজনই বাড়ে না, শরীরের বিপাক ক্রিয়াতেও প্রভাব পড়ে। এতে থাকা ফ্যাট হজম হতে সময় নেয়, ফলে পাচন তন্ত্রে ভারী ভাব তৈরি হয় এবং শরীরের শক্তি খরচ কমে যায়। এর ফলে অতিরিক্ত শক্তি জমে থেকে শরীরে চর্বি হিসেবে রূপ নেয়। আবার কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ইনসুলিন রেজি স্ট্যান্সের ঝুঁকিও বেড়ে যায়, যা দীর্ঘ মেয়াদে ওজন বৃদ্ধি ও ডায়াবে টিসের সম্ভাবনা বাড়ায়। তাই প্রতিদিন অল্প পরিমাণে কাজু বাদামই যথেষ্ট, বেশি নয়।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে কাজু বাদাম খাওয়ার সময় ও পরিমাণ জানা খুব দরকার। সাধারণত প্রতি দিন ৫ থেকে ৬ টি কাজু বাদামই যথেষ্ট বলে বিশেষ জ্ঞরা মনে করেন। এর বেশি খেলে শরীরে প্রয়োজ নের অতিরিক্ত ক্যালরি জমে ফ্যাটে পরিণত হয়। বিশেষ করে রাতে বা খাবারের পরপরই কাজু খাওয়ার অভ্যাস ওজন বৃদ্ধিতে আরও ভূমিকা রাখে। তাই কাজু বাদাম খেতে হলে সকালে বা ব্যায়ামের আগে সামান্য পরিমাণে খাওয়াই উত্তম হয়। এতে শরীর শক্তি পায়, কিন্তু ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে না।

উচ্চ ক্যালোরি ও চর্বি শরীরে নেতিবাচক প্রভাব

উচ্চ ক্যালোরি ও চর্বি সমৃদ্ধ খাবার দীর্ঘ সময় ধরে খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অতিরিক্ত ক্যালোরি ও চর্বি খাওয়ার ফলে শরীরের শক্তি সঞ্চয় বেড়ে যায় এবং ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। স্থূ লতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হার্টের সমস্যা ও উচ্চ রক্ত চাপের ঝুঁকি বাড়ে। এমন খাবার হজমে ধীর গতি সৃষ্টি করে এবং লিভারের ওপর অতিরিক্ত চাপ দেয়। এটি কোষ্ঠ কাঠিন্য ও হজমজনিত সমস্যাও তৈরি করতে পারে। শরীরে প্রদাহের মাত্রা বেড়ে যায়, যা দীর্ঘ মেয়াদে শারীরিক শক্তি হ্রাস করে। অতএব, উচ্চ ক্যালোরি খাবারের অতিরিক্ত গ্রহণ এড়ানো উচিত।

আরো পড়ুনঃ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো


উচ্চ চর্বি ও ক্যালোরি খাবার রক্তের কোলে স্টেরল মাত্রা বাড়ায়। বিশেষ করে স্যাচু রেটেড ফ্যাট ও ট্রান্স ফ্যাট হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। দীর্ঘ সময় এই ধরনের খাবার খেলে রক্ত নালীর পুরুত্ব বৃদ্ধি পায় এবং ধমনীর সমস্যা দেখা দিতে পারে। উচ্চ ক্যালোরি খাবার ইন্সুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা ও কমাতে পারে। এটি টাইপ ৪ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। শরীরের শক্তি ভারসাম্য হীন হয়ে ওঠে এবং হঠাৎ ক্লান্তি অনুভূত হতে পারে। নিয়মিত উচ্চ চর্বি গ্রহণ করলে শারীরিক সুস্থতা বিঘ্নিত হয়ে থাকে। 

উচ্চ ক্যালোরি ও চর্বি খাবার মস্তিষ্কের কার্য কারিতার ও পরও প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত চর্বি স্মৃতি শক্তি কমাতে পারে এবং মনো যোগে ব্যাঘাত ঘটায়। মস্তিষ্কে প্রদাহের মাত্রা বাড়ার ফলে মানসিক চাপ ও অবসাদ তৈরি হতে পারে। এটি ঘুমের মানেও প্রভাব ফেলে এবং দীর্ঘ সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করে। হরমোনের ভারসাম্যও বিঘ্নিত হয়, যা খাদ্যা ভ্যাস নিয়ন্ত্রণে সমস্যা তৈরি করে। এই কারণে উচ্চ ক্যালোরি খাবার নিয়ন্ত্রণে রাখা  অনেক বেশি দরকার।

উচ্চ ক্যালোরি ও চর্বি শরীরের জয়েন্টের উপর ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত ওজন জয়েন্টে চাপ বৃদ্ধি করে, বিশেষ করে হাঁটু ও কাঁধে। দীর্ঘ সময়ে গাঁটের ব্যথা ও আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। চর্বি সঞ্চয় পেশীর কার্যকা রিতাকেও হ্রাস করতে পারে। ও   কিডনির ওপরও চাপ পড়ে, যার ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরের সামগ্রিক কার্য ক্ষমতা কমে যায় এবং দৈন ন্দিন কাজ কর্মে সমস্যা তৈরি হয়। তাই সুষম খাদ্য ও নিয়মিত ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ দরকার।

অ্যালার্জি ও ত্বকের সমস্যা সৃষ্টি

অ্যালার্জি শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অতিরিক্ত প্রতি ক্রিয়া, যা বিভিন্ন ত্বকের সমস্যার জন্ম দেয়। ধুলা, পরাগ, নির্দিষ্ট খাবার বা রাসায়নিক উপাদান থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। এর ফলে ত্বকে লালচে ফুস কুড়ি, চুলকানি বা দাগ দেখা দেয়। অনেক সময় ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং খোসা উঠতে শুরু করে। এসব সমস্যা উপেক্ষা করলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। অ্যালার্জি ত্বকের উজ্জ্বলতা কমিয়ে দেয় এবং অস্ব স্তিকর অনুভূতি তৈরি করে। তাই অ্যালার্জির কারণ সনাক্ত করে তা থেকে দূরে থাকা আপনার জন্য দরকার।

ত্বকের সমস্যা শুধু মাত্র অ্যালার্জির কারণে নয়, বরং দূষণ অনিয়মিত খাদ্যা ভ্যাস ও মানসিক চাপ থেকেও হতে পারে। অতিরিক্ত কসমেটিক ব্যবহার অনেকের ত্বকে জ্বালা পোড়া বা প্রদাহ সৃষ্টি করে। সূর্যের অতিবে গুনি রশ্মিও অ্যালার্জি প্রবণ ত্বককে ক্ষতি গ্রস্ত করে। এসব অবস্থায় ত্বক নিস্তেজ হয়ে যায় এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়। চুলকানি র‍্যাশ বা ব্রণ দেখা দেওয়া সাধারণ লক্ষণ। ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপায় ও সঠিক চিকিৎসা অনুসরণ করা উচিত।

কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা

কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় যখন শরীরে পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ করা হয় না। পানি কম খেলে প্রস্রাবে খনিজ পদার্থ জমে ঘন হয়ে যায়, যা পরে পাথরে পরিণত হয়। এছাড়া অতিরিক্ত লবণ, প্রাণিজ প্রোটিন ও চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস ও এই ঝুঁকি বাড়ায়। অনেক সময় বংশগত কারণে ও কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে। যারা নিয়মিত শারীরিক পরি শ্রম করেন না এবং ঘামের মাধ্যমে পানি বেশি না খাইলে, তাহলে সমস্যা হতে পারে বেশি।

অন্যদিকে, কিছু বিশেষ ধরনের ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট যেমন ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ডি বেশি খাওয়ার ফলে ও পাথর গঠনের প্রবণতা দেখা যায়। মূত্র নালীর সংক্রমণ থাকলে সেটিও কিডনিতে পাথর তৈরি করতে সহায়তা করে। ডিহাই ড্রেশন বা অতিরিক্ত গরম আবহাওয়ায় পর্যাপ্ত পানি না খাওয়ার কারণে প্রস্রাব ঘন হয়ে যায়, যা পাথর হওয়ার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান, সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা কিডনিকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে থাকে।

হজমে গ্যাস্ট্রিক ও অ্যাসিডিটির ঝুঁকি

হজমের সমস্যার কারণে গ্যাস্ট্রিক ও অ্যাসিডিটির ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়, বিশেষ করে যখন খাবার সময় মতো না খাওয়া হয়। অনিয়মিত খাদ্যা ভ্যাস, অতিরিক্ত মশলা যুক্ত বা তেলে ভাজা খাবার খাওয়া এবং দেরিতে ঘুমানো, এসব অভ্যাস পেটে অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি করে। এই অ্যাসিড পেটের ভেতর জ্বালা, ঢেকুর এবং বুক জ্বালা পোড়া সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া দ্রুত খাবার খাওয়া ও যথেষ্ট পানি না পান করাও হজম প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। যারা দীর্ঘসময় খালি পেটে থাকেন বা অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় গ্রহণ করেন, তাদের ঝুঁকি আর ও বেশি।

আরো পড়ুনঃ পুদিনা পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা


গ্যাস্ট্রিক ও অ্যাসিডিটি শুধু সাময়িক অস্বস্তি নয়, সময় মতো যত্ন না নিলে এটি আলসার বা পেটের ক্ষতের কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব এবং ধূমপান ও এই সমস্যা বাড়ায়। অনেক সময় হজমে সহায়ক এনজাইমের অভাবে ও অ্যাসিড উৎপাদন বেড়ে যায়, যা পাক স্থলীর ভারসাম্য নষ্ট করে। এই ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত সময়মতো খাবার খাওয়া, হালকা ব্যায়াম করা এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা প্রয়োজন। পাশা পাশি ঝাল ও ভাজা খাবার পরিহার করে সহজ পাচ্য খাবার গ্রহণ হজম প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে থাকে। 

সংরক্ষণে ত্রুটি থাকলে বিষক্রিয়ার আশঙ্কা

খাদ্য সংরক্ষণের নিয়ম ঠিক ভাবে না মানলে সহজেই ব্যাক টেরিয়া, ছত্রাক বা অন্যান্য ক্ষতি কর জীবাণু জন্ম নিতে পারে। এই জীবাণু গুলো খাবার নষ্ট করে এবং খাওয়ার পর শরীরে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে দুধ, মাছ, মাংস ও রান্না করা খাবার সঠিক তাপ মাত্রায় না রাখলে তা দ্রুত নষ্ট হয়। অনেক সময় ফ্রিজে রাখলে ও ঢেকে না রাখলে খাবারে দূষণ ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার সংরক্ষণ করাও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। ফলে বমি, ডায়রিয়া ও পেট ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।কাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক, এই টপিকটি ওপরে নিচে সব জায়গায় বিস্তারিত ভাবে বোঝেনো আছে। 

অন্য দিকে, রাসায় নিক ভাবে সংরক্ষিত খাবারে অতিরিক্ত প্রিজার ভেটিভ ব্যবহারের কারণে ও বিষক্রিয়ার আশঙ্কা বাড়ে। বাজারে বিক্রি হওয়া অনেক প্রসেসড খাবার বা টিনজাত পণ্যে ক্ষতিকর রাসায় নিক মিশ্রণ থাকে, যা দীর্ঘ মেয়াদে লিভার ও কিডনির ক্ষতি করতে পারে। সংরক্ষণে ত্রুটি থাকলে শুধু পুষ্টি গুণই নষ্ট হয় না, খাবারের স্বাদ ও গন্ধও পরিবর্তিত হয়। তাই খাবার সবসময় পরিষ্কার, শুষ্ক ও ঠান্ডা স্থানে রাখা উচিত। সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করলে খাবারের গুণগত মান বজায় থাকে এবং বিষ ক্রিয়ার ঝুঁকিও কমে এসে থাকে।

অতিরিক্ত সোডিয়ামযুক্ত কাজুর ক্ষতি

অতিরিক্ত সোডিয়াম যুক্ত কাজু খাওয়ার ফলে শরীরে নানা ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দিতে পারে। কাজু নিজে পুষ্টি কর হলে ও এতে অতিরিক্ত লবণ মেশানো হলে রক্ত চাপ দ্রুত বেড়ে যেতে পারে। উচ্চ রক্ত চাপ হৃদরোগ, স্ট্রোক ও কিডনির সমস্যা বাড়ায়। এছাড়া শরীরে পানি ধরে রাখার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়ে, ফোলা ভাব বা ফুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। যারা আগে থেকেই হাইপার টেনশনে ভুগছেন, তাদের জন্য এই ধরনের কাজু আর ও ক্ষতিকর। নিয়মিত লবণাক্ত কাজু খেলে শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য ও নষ্ট হয়ে যায় সম্ভাবনা থাকে।

অন্যদিকে, অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীরের হজম প্রক্রিয়া ও পেটের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি পাকস্থলীতে অ্যাসিড উৎপাদন বাড়িয়ে গ্যাস্ট্রিক বা অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। বেশি লবণযুক্ত খাবার কিডনির কাজের চাপ বাড়ায়, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে কিডনি দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। এছাড়া এমন কাজু খাওয়ার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যেতে পারে এবং শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। তাই সোডিয়াম বিহীন বা হালকা লবণযুক্ত কাজু বেছে নেওয়া এবং পরিমাণে সীমিত ভাবে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ হয়ে থাকে।

গর্ভবতী ও শিশুদের জন্য সতর্কতা

গর্ভবতী নারীদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুল মূলক ভাবে দুর্বল থাকে, তাই খাদ্য ও জীবন যাপনে বিশেষ সতর্কতা দরকার হয়ে থাকে। কাঁচা বা আধা সিদ্ধ খাবার যেমন ডিম, মাছ ও মাংস এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এতে জীবাণু থেকে সংক্র মণের ঝুঁকি থাকে। অতিরিক্ত ক্যাফেইন, কোমল পানীয় ও প্রিজার ভেটিভ যুক্ত খাবার খেলে শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। পর্যাপ্ত পানি পান, সুষম খাবার গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম গর্ভকালীন সময়কে নিরাপদ রাখে। তাছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ বা ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিত নয়।

অন্যদিকে, শিশুদের শরীর অত্যন্ত সংবেদন শীল, তাই তাদের খাবার ও পরিবেশে বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। সংরক্ষিত বা রাসায়নিক যুক্ত খাবার শিশুদের হজমে সমস্যা ও অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত চিনি বা লবণযুক্ত খাবার তাদের কিডনি ও দাঁতের ক্ষতি করে। শিশুদের জন্য তাজা, ঘরে তৈরি ও পুষ্টিকর খাবার সবচেয়ে নিরাপদ হয়ে থাকে। এছাড়া পরিষ্কারপরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, নিয়মিত হাত ধোয়া এবং বিশুদ্ধ পানি পান করানো সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়। গর্ভবতী নারী ও শিশুদের যত্নই পরিবারের সামগ্রিক সুস্থতার ভিত্তি অনেক টাই হয়ে থাকে।

শেষ পাতাঃকাজু বাদামের ক্ষতিকর দিক 

আমি যেই নিয়ম মত বলেছি, সেই সঠিক নিয়ম মত যদি আপনি কাজু বাদাম ব্যবহার সম্পর্কে জেনে থাকেন তাহলে আপনার জন্য অনেকই ভালো হবে, আর আপনি যদি পুরো আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ, ও অভিনন্দন, আর এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি কিছু না বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবেন, যথাক্রমে আপনার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করব। আপনি আমার কাছে থেকে সব সময় হেল্প পাবেন ইনশাআল্লাহ। 









এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url